স্বাধীনতার পরবর্তীকালে ভারত সরকার জাতীয় শিক্ষার উন্নতির লক্ষ্যে মহিলা শিক্ষার ও শিক্ষাক্ষেত্রে
সমসুযোগের গুরত্ব উপলব্ধি করেন৷ যার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কমিশন ও
কমিটি গঠন করেন৷ স্বাধীনত্তোর কালেও ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থা নানান কুপ্রথা, বাল্যবিবাহ, জাতিভেদ,
ধর্মবিরোধী প্রথায় জর্জড়িত ছিল। মহিলারা ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত, পুরুষদের হাত থেকে
নানাভাবে নির্যাতিত ও অত্যাচারিত হত, এমনকী তারা বিদ্যালয়ের গণ্ডি ছোঁয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিল৷
মহিলা শিক্ষার হার এতটাই কম ছিল, যে অন্যান্য দেশের সঙ্গে শিক্ষার প্রতিযোগিতায় ভারত অনেকটাই
পিছিয়ে ছিল, যা পরর্বতীকালে ভারতের জাতীয় শিক্ষাস্তরে প্রধান অন্তরায় হয়ে দাড়াঁয়৷ ভারতের বিভিন্ন
স্তরের শিক্ষার সমস্যা দূরীভূত করার জন্য ১৯৬৪ সালে কোঠারি কমিশন গঠিত হয়। এই গবেষণার উদ্দ্যেশ্য
নারীশিক্ষা ও শিক্ষাক্ষেত্রে সাম্যতা বিষয়ে কোঠারি কমিশন প্রদত্ত সুপারিশগুলোর আলোকপাত ও
সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ এবং নারীশিক্ষা ও শিক্ষার সাম্যতার জন্য কোঠারি কমিশনের পরবর্তী সময়ে
ভারত সরকার গৃহীত কর্মসূচিগুলির আলোচনাকরণ ও স্বাক্ষরতার হারের অগ্রগতির পর্যালোচনা করা।
কোঠারি কমিশনের পূর্ববতী ও পরবর্তী সময়ে ভারতে শিক্ষার হারের অগ্রগতির পরিবর্তনের লক্ষ্য ভারতীয়
সরকারের উদ্যোগে ভারতে নানান কমিশন ও কমিটি গঠিত হয়, যেমন এস. এস. ভাটনগর কমিটি (১৯৪০),
ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন (১৯৪৮), ভারতীয় শিক্ষা কমিশন (১৯৫২), থেক্কার কমিটি (১৯৫৯), কোঠারি
কমিশন (১৯৬৮)। উপরে উল্লিখিত কমিশন ও কমিটি গৃহীত নীতিগুলি অধিগ্রহণের পর থেকেই ভারতের নারী-
পুরুষের শিক্ষার হার এবং সমাজে দুঃস্থ ও দরিদ্র অনগ্রসর জাতি-উপজাতি সম্প্রদায়ের বালক-বালিকাগণের
শিক্ষার হার অনেকাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। নারীশিক্ষা, সাম্যের জন্য শিক্ষা ও শিক্ষার সার্বিক মান উন্নয়নের
জন্য ভারত সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি ও পরিকল্পনা গ্রহণ করে। ভারতে ১৯৭১ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত
জনসংখ্যা ও নারী-স্বাক্ষরতার হার এবং নারী-পুরুষ শিক্ষার হারের ব্যবধান দ্রুতগতিতে বৃদ্ধি পায়। ভারত
সরকার গৃহীত অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড (১৯৮৭) কর্মসূচির মাধ্যমে ভারতে প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার গুণগত
মানবৃদ্ধি করতে সচেষ্ট হয়, ফলে ১৯৮১ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সমগ্র ভারতে শিক্ষার হার ৮.৬% বৃদ্ধি
পায়। জেলায় জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, প্রতিটি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের খাদ্যদানের ও শিক্ষাকে
সর্বজনীন করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের শিক্ষার প্রতি মনোযোগী করার লক্ষে ১৯৯১ সাল থেকে ২০০১ সালের
মধ্যে শিক্ষার হার ১২.৬% বৃদ্ধি করে, যার প্রভাবে ১৯৭১ সালের মোট জনসংখ্যার হার ছিল ৩৪.৯% তা থেকে
৩৯.৯% বৃদ্ধি পেয়ে ২০১১ সালে ৭৪.০% হয়। ১৯৭১ সালে ভারতে মহিলা স্বাক্ষরতার হার ছিল ২১.৯% কিন্তু
সরকার গৃহীত কুর্স্তভা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়, মডেল স্কুল, অন্যান্য বালিকা বিদ্যালয় স্থাপনের মাধ্যমে
নারীশিক্ষার হার ৪৩.৬% বৃদ্ধি পেয়ে ২০১১ সালে ৬৫.৫% হয়।
ঔপনিবেশিক বাংলার মহামারির ইতিহাস ও ছাত্রসমাজ: [PP 13 - 21]
এই প্রবন্ধের মূল আলোচ্য বিষয় হল, ঔপনিবেশিক বাংলার মহামারির ইতিহাস এবং এই মহামারির মোকাবিলায়
ছাত্রসমাজের ভূমিকা কি ছিল, তা পর্যালোচনা করা। ঔপনিবেশিক বাংলায় ম্যালেরিয়া, বসন্ত, কলেরা, প্লেগ,
কালাজ্বর, যক্ষ্মা প্রভৃতি রোগ বারম্বার মহামারি রূপে বাংলার জনজীবন বিধ্বস্ত করেছে। আলোচ্য প্রবন্ধে,
ম্যালেরিয়া, কলেরা, বসন্ত ও প্লেগ রোগ কীভাবে তৎকালীন বঙ্গে মহামারির আকার ধারণ করে ধ্বংসযজ্ঞ
চালিয়েছিল, এই মহামারি মোকাবিলায় ব্রিটিশ সরকারের ভূমিকা কী ছিল দেশীয় মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন ছিল,
এবং ছাত্রসমাজ কীভাবে মহামারির প্রতিকারে এগিয়ে আসে তা দেখার চেষ্টা করা হয়েছে।
একদিকে করোনার ত্রাস, অন্যদিকে প্রকৃতির পরিহাস, আবার রাজনৈতিক বাক্বিতণ্ডা এই নিয়ে এখন ব্যস্ত
আমরা সবাই। কিন্তু এরই আড়ালে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে অপর এক সামাজিক ব্যাধি - 'গার্হস্থ্য হিংসা' বা
'Domestic Violence'. এই গার্হস্থ্য হিংসা লকডাউনে থাকা অন্যান্য দেশগুলোর পাশাপাশি আমাদের দেশের
ক্ষেত্রেও চিন্তার রেখা টেনেছে। NDTV কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে NCW র চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা
জানিয়েছেন যে তাদের কাছে আসা অভিযোগের সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বেশ কিছু
ঘটনার উল্লেখ করেছেন। অপরদিকে বিদেশের চিত্রও খুব একটা পৃথক নয়। Times Now পত্রিকায় প্রকাশিত
খবর অনুযায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ঘরোয়া সহিংসতার ঘটনা ২০% বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ফ্রান্সে ৩০%। তবে
বর্তমান পরিস্থিতিতে ভারতবর্ষে যে গার্হস্থ্য হিংসার ঘটনা বৃদ্ধি পাচ্ছে সে বিষয়ে ভারতের মানবসম্পদ
উন্নয়ন মন্ত্রক একমত পোষণ করে না। তারা জানিয়েছেন, প্রতিটি রাজ্যের একটি পুলিশ লাইন এবিষয়ে কাজ
করছে। যদিও বহু অর্গানাইজেশনের গলায় উদ্বেগের সুর শোনা গিয়েছে। তবে যে দিকে দৃষ্টি না দিলেই নয় তা হল
নিগৃহীত পুরুষদের অবস্থা, কারণ মহিলারা যেটুকুও সুবিচার পান পুরুষদের ক্ষেত্রে সেটুকুও হয়না। তাই
Domestic abuse সংক্রান্ত কোন ঘটনার শিকার হলে police helpline number -এ রিপোর্ট করাই হবে
প্রাথমিক পদক্ষেপ। এছাড়া NCW থেকে একটি WhatsApp helpline number ও চালু করা হয়েছে। আর আজ
যখন আমরা গৃহবন্দি তখন কেবল পুলিশ বা NGO র মুখাপেক্ষী হয়ে থাকলে হবে না, আমাদেরকে এই সমস্ত
মানুষদের পাশে দাঁড়াতে হবে। কেননা বহু হেডলাইনসের ভিড়ে এই খবরগুলি আজ আমাদের চোখের আড়ালে চলে
গেছে। তাই সব থেকে আগে মানুষকে সচেতন করতে হবে, যার শুরুয়াত হয়তো হবে পাঠ্যক্রম থেকেই। কারণ এই
সমস্যার মূলে আছে দীর্ঘসময় ধরে চলে আসা এক জরাজীর্ণ ধারণা, যাকে সমূলে উৎপাটন করার এটাই হয়তো
বিকল্প পদ্ধতি।
অনলাইন ক্যুইজের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সংক্রান্ত জ্ঞানের সমীক্ষা: [PP 26 - 32]
ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা এবং মানুষের অপরিমিত ও বিশৃঙ্খলিত আচরণ আমাদের পৃথিবীকে ক্রমশ অবাসযোগী
করে তুলছে। এমতবস্থায় আমাদের পারিপার্শ্বিক, সামাজিক, ভৌগোলিক পরিবেশ সম্বন্ধে জ্ঞান এবং তাকে
সুন্দর ও মনোরম করার উপায় সম্পর্কে অবহিত থাকতে হবে। এই সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বা বিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের পরিবেশ সম্পর্কিত জ্ঞানের মাত্রা নির্ণয় করার জন্য জানুয়ারী ২০২০ থেকে ফেব্রুয়ারি ২০২০
র মধ্যে অনলাইন ক্যুইজের মাধ্যমে সমীক্ষা করা হয়েছে। বর্ণনামূলক সমীক্ষা নকশা এই গবেষণাতে ব্যবহার
করা হয়েছে। হাওড়া পৌরসভার অন্তর্গত সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির ৬৫
জন শিক্ষার্থীদের ওপর গবেষণাটি করা হয়। । পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সপ্তম থেকে দশম শ্রেণির
পাঠ্যপুস্তক থেকে আঞ্চলিক পরিবেশের পাশাপাশি সমগ্র বিশ্বের বর্তমান অবস্থা কীরূপ, পরিবেশ সংক্রান্ত
ইস্যু, সম্পদের যথোচিত ব্যবহার বা পরিবেশকে সুন্দর ও নির্মল করতে জীবনশৈলীতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া
যেতে পারে –এই সংক্রান্ত ১৫ টি MCQ এর উত্তরগুলি google form এর মাধ্যমে তাদের থেকে নেওয়া হয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণের জন্য শতকরা, পরিসংখ্যান ও MS EXCEL 2010 ব্যবহার করা হয়েছে।
পর্যবেক্ষনে সচেতনতার মান সন্তোষজনক মনে হয়েছে। ক্যুইজ ছাড়াও স্লোগান, পোস্টার তৈরি, বিতর্কসভা
বা সেমিনারে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়েও শিক্ষার্থীদের চিন্তা ভাবনার বিকাশ ঘটবে এবং নিজের বাড়ির
আশেপাশের পরিবেশের পাশাপাশি প্রকৃতিকে সুন্দর সুস্থ রাখার মানসিকতা তৈরি হবে এবং নিজেকে দেশের
দায়িত্ববান নাগরিক হিসাবে গড়ে তুলতে সচেষ্ট হবে।
গবেষণাপত্র টিতে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাসের পাঠ্যপুস্তক এর লিঙ্গভিত্তিক সমালোচনামূলক বিশ্লেষণ করা
হয়েছে। যার মাধ্যমে দেখানো হয়েছে গোটা পাঠ্যপুস্তকে লিঙ্গ বৈষম্য বিষয়টিকে। পাঠ্যপুস্তকটিতে
বিষয়বস্তুগত দিক থেকেই হোক কিংবা চিত্রের দিক থেকেই হোক কিংবা অনুশীলনীর দিক থেকেই হোক না কেন
প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব লক্ষ্য করা গেছে। প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সমাজে পুরুষের প্রাধান্য
কে অত্যধিক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। মুঘল আমল সুলতানি আমলে পুরুষদের প্রতিপত্তি তাদের আধিপত্য
বিস্তার তাদের দায়-দায়িত্ব এবং সমাজে তাদের প্রতিপত্তি কথা অত্যধিক ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। পুস্তক টির
কিছু ক্ষেত্রে নারীর বর্ণনা পাওয়া গেছে কিন্তু সেটি খুবই অল্প পরিমাণে। যতটুকু পরিমাণে নারীর বর্ণনা
পাওয়া গেছে তারমধ্যে একদিকে যেমন সুলতানি আমলে সুলতানা রাজিয়ার কথা তুলে ধরা হয়েছে তার বীরত্বের
কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে তেমনি অন্যদিকে সমাজে নারীস্থান কীরকম ছিল তা নিয়ে বর্ণনা করা হয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকে যে সমস্ত চিত্র ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে বেশির ভাগই পুরুষ চিত্র, নারী চিত্র খুবই কম
আছে। আর যেহেতু অধ্যায়গুলি কেউ নারীর তুলনায় পুরুষ চরিত্রের কথা বেশি উল্লেখ করা হয়েছে সেই কারণে
অধ্যায়টির অনুশীলনীগুলিতেও পুরুষ চরিত্রের ওপর নির্ভর করেই প্রশ্ন তৈরি করা হয়েছে। এক কথায় বলা
যেতে পারে পাঠ্যপুস্তকটি লিঙ্গ পক্ষপাতিত্ব দোষে দুষ্ট।
পৃথিবীর জনসংখ্যা দিন দিন অত্যধিক বেড়ে চলেছে ফলে ভূপৃষ্ঠের ওপর জনসংখ্যার চাপ প্রবল হয়েছে, যা
পৃথিবীর জলসম্পদের ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। পৃথিবীর মোট জনসংখ্যার ৪৫% গত শতাব্দী ৯০র
দশকের মাঝামাঝি সময়ে থেকে চরম জলসঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। তাই বিজ্ঞানীরা অনেক চিন্তা ভাবনা করার
পর একটি সিদ্ধান্ত নেন, সেটা হলো বৃষ্টির জল সংরক্ষণ পদ্ধতি। যা জলদূষণ রোধ, শিল্প, কৃষি, ও বিভিন্ন
ক্রিয়াকলাপের জন্যে উপযোগী। বৃষ্টির জল সংরক্ষণ দুটি উপায়ে সংগঠিত হয় যথা ১) বাড়ির ছাদে জল ধরে
রেখে সংরক্ষণ যা বর্ষাকালে Recharge pit, Recharge shaft, Hand pump, Dug well, Trench, Lateral
shaft, Bore well এবং spreading technique এর মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হয় এবং ২) ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন
আধার অর্থাৎ পুকুর, খাল, বিল, জলাশয়ে সংরক্ষণ করা যায়। বর্তমানে ভারতের বেশ কয়েকটি স্থানে (যেমন
অন্ধ্রপ্রদেশের চেন্নাই, রাজস্হান, উত্তর প্রদেশ, উত্তরাখন্ড, জম্মু ও কাশ্মীর, নিউ দিল্লি প্রভৃতি)
জলসংকট দেখা দিয়েছে, তাই এই ক্ষেত্রে বৃষ্টির জল যদি সংরক্ষণ করে রাখা যায় তো সে ক্ষেত্রে ক্ষতি
পূরণ করা সম্ভব হবে, তাছাড়া এই পদ্ধতি খুবই সহজ সরল পদ্ধতি, খরচ বহুলাংশে কম। জলসংকটের
মোকাবেলা করার জন্য এই বৃষ্টির জল সংরক্ষণ পদ্ধতি অবশ্যই কাম্য।
ভারত প্রতিনিয়ত বিভিন্ন কারণে তার বৈচিত্র্যপূর্ণ সম্পদ অরণ্যকে হারিয়ে ফেলছে। মানুষের
ক্রিয়াকলাপ ও সরকারের উদাসীনতার জন্য অরণ্যছেদন হয়েই চলেছে। এই ক্রিয়াকলাপের জন্য
ভারতবাসীকে একাধিক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এই অধ্যয়ন পত্রটি গৌণ তথ্যের উপর
ভিত্তি করে ভারতীয় অরণ্যের বিস্তার, ধরন, অরণ্য ধ্বংসের তৎকালীন কারণ, উদাহরণ ও অরণ্য
ধ্বংসের বর্তমান প্রভাব তুলে ধরা হয়ছে। বর্তমানে ভারতের বনভূমির আয়তন 71.22 মিলিয়ন হেক্টর যা
দেশের 21.67 % ভৌগলিক অঞ্চল জুড়ে বিস্তৃত। 1988 সালে জাতীয় বননীতিতে ভারতের 33% অঞ্চলে
অরণ্য বিস্তারের লক্ষ্য মাত্রা ধার্য করা হয় কিন্তু অরণ্যছেদনের কারনেই গত তিন দশকে এই
লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা সম্ভব হয়নি।
চন্দ্রকেতুগড় - এক হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা: [PP 54 - 62]
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসম্পন্ন চন্দ্রকেতূগড় বর্তমানের একটি হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা। এই জায়গা একসময়
পশ্চিমবঙ্গের প্রত্নতাত্ত্বিক শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে। উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বেড়াচাঁপার নিকট
দেগঙ্গা থানার অধীনে কলকাতার প্রায় ৩৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এটি দেউলিয়া, বেড়াচাঁপা,
সিংহেরাতি, হাদিপুর ইত্যাদি গ্রাম নিয়ে গঠিত। স্থানটির বিশেষত্ব আলোকপাত করতে গিয়ে ঐতিহাসিক
পটভূমি, খনা-মিহিরের ঢিপি, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা ও আরও অন্যান্য বিষয়ে
ধারণালাভ করতে পারি। ইতিহাসকে খুঁটিয়ে দেখলে জানা যায় পূর্ব-মৌর্য যুগে প্রথম এই স্থানের তাৎপর্যতা
আমাদের সামনে প্রতিফলিত হয়েছিল। ১৯০৬ সালে এ.এইচ.লংহাস্ট প্রথম চন্দ্রকেতুগড় পরিদর্শনে এসে
মন্তব্য করেছিলেন, ‘This was one of the earliest settlement in lower Bengal.’ তারপর সময়ের সাথে
সাথে খননকার্যও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এইভাবে আঞ্চলিক ইতিহাস উদঘাটন হতে থাকে। পরবর্তী
ক্ষেত্রে ১৯৫৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে খনন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রকৃত
অর্থে চন্দ্রকেতুগড় আবিস্কারের প্রাণপুরুষ বলতে আমরা শ্রী দিলীপ কুমার মৈতে-র কথা স্মরণ করতে পারি।
যিনি এই সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি সংগ্রহ করেছিলেন এবং পরে তা চন্দ্রকেতুগড় জাদুগরে
প্রদর্শিত হয়েছিল। সংগ্রহের মধ্যে ছিল মৃৎশিল্পের তৈরি নানান জিনিসপত্র, দেব-দেবীর মূর্তি, মহিলা
প্রতীক, পুতুল-খেলনা, প্রণয়পূর্ণ প্রতীক, প্রাণি-প্রতীক, মূদ্রা ইত্যাদি। এই স্থানের তাৎপর্যতা হল
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান পোড়ামাটির সম্ভারকে উপস্থাপন করা। শুঙ্গ পোড়ামাটির কিছুটা বিকশিত রুপকে এই
সভ্যতা উপস্থাপন করেছিল। একসময় আন্তর্জাতিক বানিজ্য সম্পন্ন জায়গাটি অবহেলার স্বীকারে এখন
নিখোঁজ হওয়া স্থান। তাই স্থানীয় ও সরকার একজোট হয়ে চন্দ্রকেতুগড়কে পুনরায় প্রত্নতাত্ত্বিক ও
পর্যটনশীল সভ্যতা রুপে স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ। কারণ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষা
আমাদের আমৃত্যু কাম্য।
স্বাধীনোত্তর ভারতবর্ষের রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলভিত্তিক লিঙ্গানুপাতের সমীক্ষা: [PP 63 - 78]
সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসম্পন্ন চন্দ্রকেতূগড় বর্তমানের একটি হারিয়ে যাওয়া সভ্যতা। এই জায়গা একসময়
পশ্চিমবঙ্গের প্রত্নতাত্ত্বিক শ্রেষ্ঠত্বের দাবি রাখে। উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার বেড়াচাঁপার নিকট
দেগঙ্গা থানার অধীনে কলকাতার প্রায় ৩৭ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে অবস্থিত। এটি দেউলিয়া, বেড়াচাঁপা,
সিংহেরাতি, হাদিপুর ইত্যাদি গ্রাম নিয়ে গঠিত। স্থানটির বিশেষত্ব আলোকপাত করতে গিয়ে ঐতিহাসিক
পটভূমি, খনা-মিহিরের ঢিপি, প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন, বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা ও আরও অন্যান্য বিষয়ে
ধারণালাভ করতে পারি। ইতিহাসকে খুঁটিয়ে দেখলে জানা যায় পূর্ব-মৌর্য যুগে প্রথম এই স্থানের তাৎপর্যতা
আমাদের সামনে প্রতিফলিত হয়েছিল। ১৯০৬ সালে এ.এইচ.লংহাস্ট প্রথম চন্দ্রকেতুগড় পরিদর্শনে এসে
মন্তব্য করেছিলেন, ‘This was one of the earliest settlement in lower Bengal.’ তারপর সময়ের সাথে
সাথে খননকার্যও এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এইভাবে আঞ্চলিক ইতিহাস উদঘাটন হতে থাকে। পরবর্তী
ক্ষেত্রে ১৯৫৬ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে আনুষ্ঠানিকভাবে খনন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রকৃত
অর্থে চন্দ্রকেতুগড় আবিস্কারের প্রাণপুরুষ বলতে আমরা শ্রী দিলীপ কুমার মৈতে-র কথা স্মরণ করতে পারি।
যিনি এই সভ্যতার প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনগুলি সংগ্রহ করেছিলেন এবং পরে তা চন্দ্রকেতুগড় জাদুগরে
প্রদর্শিত হয়েছিল। সংগ্রহের মধ্যে ছিল মৃৎশিল্পের তৈরি নানান জিনিসপত্র, দেব-দেবীর মূর্তি, মহিলা
প্রতীক, পুতুল-খেলনা, প্রণয়পূর্ণ প্রতীক, প্রাণি-প্রতীক, মূদ্রা ইত্যাদি। এই স্থানের তাৎপর্যতা হল
পশ্চিমবঙ্গের প্রধান পোড়ামাটির সম্ভারকে উপস্থাপন করা। শুঙ্গ পোড়ামাটির কিছুটা বিকশিত রুপকে এই
সভ্যতা উপস্থাপন করেছিল। একসময় আন্তর্জাতিক বানিজ্য সম্পন্ন জায়গাটি অবহেলার স্বীকারে এখন
নিখোঁজ হওয়া স্থান। তাই স্থানীয় ও সরকার একজোট হয়ে চন্দ্রকেতুগড়কে পুনরায় প্রত্নতাত্ত্বিক ও
পর্যটনশীল সভ্যতা রুপে স্বীকৃতি দেওয়া উচিৎ। কারণ, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও পরিবেশ রক্ষা
আমাদের আমৃত্যু কাম্য।
প্রকৃতি, প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও পটচিত্র: [PP 79 - 88]
কেবলমাত্র একটি গ্রামীণ লোকশিল্প হিসাবেই নয়, সাংস্কৃতিক চর্চার ক্ষেত্রে পটচিত্রের আবেদন কোন
গণমাধ্যমের থেকে কম নয়। পুরাণ বা মঙ্গলকাব্য ছাড়িয়েও পটচিত্রকর বা পটুয়ারা তাদের বিষয়বস্তু হিসাবে
বেছে নিয়েছেন বিভিন্ন প্রাকৃতিক বা সামাজিক ঘটনাবলীকে। সমসাময়িক ঘটনার সঙ্গে মেলবন্ধন ঘটেছে
রূপকের, যা একেবারেই চিত্রকরের কল্পনা বা দৃষ্টিভঙ্গিপ্রসূত হলেও বাস্তবে এর আবেদন দর্শকদেরও
ছুঁয়ে যায়। তাই চৌকো পট একদিকে যেমন বলে পুরাণ, মহাকাব্য বা মঙ্গলকাব্যের কথা, জড়ানো বা গোটানো পট
পূর্বোক্ত বিষয়গুলি ছাড়াও শোনায় সমসাময়িক কাহিনি। কেবলমাত্র পণপ্রথা, বধূহত্যা বা ধর্ষণের মত
সামাজিক অপরাধগুলিই নয়, এই চিত্রকরদের তুলিতে জীবন্ত হয়ে উঠেছে, সুনামি, ঘুর্ণিঝড় এমনকি
সাম্প্রতিক করোনাভাইরাসের বিপর্যয়ের কথাও। চিত্র অঙ্কনের পাশাপাশি গানের মাধ্যমে এইসব বিপর্যয়
সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করে চলেছেন এই চিত্রকররা। ফলে পটচিত্র কেবলই একটি লোকশিল্প হিসাবে রয়ে
যায়নি, সামাজিক ও প্রাকৃতিক ঘটনা প্রদর্শনের মাধ্যমেও পরিণত হয়েছে।
নারী : স্বাধীনতার সময় ও স্বাধীনতার পরে [PP 89 - 95]
কোনো দেশের উন্নয়নে সেই দেশের সাক্ষরতার হার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি হিসাবে বিবেচিত হয়। কিন্তু
সাক্ষরতার হার সর্বত্র সমান নয়; জাতি, ধর্ম, বর্ণ এবং স্থান-কাল ভেদে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। এই
অধ্যয়ন পত্রটিতে আলোচনা করা হয়েছে ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে তপশিলি
জাতি এবং তপশিলি উপজাতিদের মোট সাক্ষরতার হারের পরিবর্তন এবং পুরুষ ও মহিলাদের লিঙ্গভিত্তিক
সাক্ষরতার হারের পার্থক্য সম্পর্কে। এই অধ্যয়ন পত্রটি প্রস্তুত করা হয়েছে ২০০১ ও ২০১১ সালের
পশ্চিমবঙ্গের জনগননার তথ্য ব্যবহার করে। QGIS 3.14 সফ্টওয়্যারের সাহায্যে মানচিত্রগুলি প্রস্তুত
করা হযেছে। পশ্চিমবঙ্গে তপশিলি জাতির এবং তপশিলি উপজাতিদের সাক্ষরতার হারের পরিবর্তন যথাক্রমে
১০.৩৯ এবং ১৪.৫৮। তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতিদের সাক্ষরতার হার সামগ্রিকভাবে পশ্চিমবঙ্গের
সমস্ত জেলাগুলিতে বৃদ্ধি পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতিদের পুরুষ ও মহিলাদের
মধ্যে সাক্ষরতার হারের পার্থক্য যথাক্রমে ১৫.৯৭ এবং ২০.৪৫। তফসিলী জাতিদের লিঙ্গ ভিত্তিক
পার্থক্যের হার বেশি পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম, দক্ষিণ 28 পরগণা, উত্তর 28 পরগণা, উত্তর দিনাজপুর এবং
হুগলী জেলাতে ও তফসিলী উপজাতিদের বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম ও পূর্ব মেদিনীপুর,হুগলী ও বর্ধমান জেলাতে।
শিক্ষা হল উন্নতির প্রধান ভিত্তি। শিক্ষাই পারে দেশের পিছিয়ে পড়া অঞ্চলগুলির উন্নতিসাধন করে এগিয়ে
নিয়ে যেতে।
পশ্চিমবঙ্গের তপশিলি জাতি এবং তপশিলি উপজাতির সাক্ষরতা হারের জেলাভিত্তিক অধ্যয়ন [PP 96 - 108]
বিংশ শতাব্দীর গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা পার্টিশন ছিল স্বাধীনতা অর্জনের এক ব্যাপক প্রয়াস। ব্রিটিশ
শাসনের অধীন থেকে স্বাধীনতা অর্জন সহজ ছিল না। তবে বহু সংগ্রাম, আন্দোলনের পর ভারতবর্ষ
১৯৪৭ সালের ১৪ ই আগস্টের মধ্যরাতে অর্থাৎ ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা অর্জন করে। বিভাজনের সময়
কালে মুসলিমরা পাকিস্তান ও হিন্দুরা ভারতে চলে আসে। পার্টিশনকালে ট্রেন ও উদ্ধাস্তুদের পূর্ণ
কনভয় বাহিনী উভয় দিক দিয়েই এমণ করেছেন।ফলে এসময়ে সবচেয়ে বেশি নির্যাতিত ও অবহেলিত
হয়েছিল নারীসমাজ। নারীদেরকে এসময়ে অপহরণ, ধর্ষণ, মৃত্যুর শিকার হতে হয়েছিল। বিশেষ করে
পাঞ্জাব, সিন্ধু এবং উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের মত দুটি নতুন সীমান্ত এলাকায়। অনেক ক্ষেত্রেই
দেখা যেত পুরুষরা তাদের নিজ স্ত্রী ও কন্যাকে হত্যা করতেন। কারণ মুসলিমরা তাদের কাছে আসতে
দ্বিধা করত না। অবিশ্বাস্যভাবে দাঙ্গা পরিস্থিতির দরুন সমাজের নারীরা প্রকৃত শিকারে পরিণত হয়।
তাদের অপহরণ, ধর্ষণ, যৌন নির্যাতন এবং অন্যান্য অপবিত্রতা সাধারণ হয়ে ওঠে উক্ত সময়ে।
বিভাজন চলাকালীন নারীরা অধস্তন অবস্থার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছিল। তাই এমতাবস্থায় ভারত ও
পাকিস্তান সরকার নারী পুনরুদ্ধারের ও নারীদের মর্যাদা পুনর্নিমাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছিল। ফলে
স্বভাবতই স্বাধীনতা অর্জন বা পার্টিশনের পর মনোযোগটা গিয়ে পড়ে নারীর আইনগত, সামাজিক,
রাজনৈতিক, শিক্ষাগত অবস্থার উন্নতিসাধন করার বিষয়ে। উনিশ শতকের প্রথম পাদে সামাজিক
গোঁড়ামি নিয়ে প্রশ্ন তুললে নারী অবস্থার উন্নতিসাধনের ঘটনা সামাজিক সংস্কার আন্দোলনের
কেন্দ্রীয় প্রশ্নে পরিণত হয়। গান্ধিবাদী, সোশালিস্ট, বিপ্লবী, সমাজবাদী ও নারী আন্দোলন গুলিতে
তারা অংশগ্রহণ করছেন। শিক্ষাক্ষেত্রে ও রাজনীতিতে বর্তমানে তাদেরকে সমানাধিকার প্রদান করা
হচ্ছে। ফলে নারী সাক্ষরতার হার ক্রমশ বাড়তে থাকে এবং রাজনীতির ক্ষেত্রে নারীরা যাতে এগিয়ে
আসতে পারে তার জন্য স্বাধীনতা পরবর্তী কাল থেকেই নারীর অগ্রগতির বিষয়টি খতিয়ে দেখেছিল
সরকার।
এই প্রবন্ধটির আসলউদ্দেশ্য হচ্ছে বিভাজন পূর্ববর্তী ও বিভাজন পরবর্তী সময়কালের নারীদের
চিত্রটি তুলে ধরা। উক্ত সময়কালে নিজেকে কষ্ট, যন্ত্রণা, নির্যাতন, নিপীড়নের মধ্যে বাঁচিয়ে রেখে
নারীরা পরবর্তী রাজনীতির পথে অগ্রসর হতে পেরেছিল – এই বিষয়টিকেই তুলে ধরার প্রয়াস এই
প্রবন্ধে করা হয়েছে। এমনকি এই নারীরাই ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে নারী ইতিহাসকে নতুন মাত্রায়
সংযোজিত করে একটা পৃথক ইতিহাস হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
পাঠ্যপুস্তকএকটি নির্দিষ্ট বিষয়ের অন্তর্গত বিষয় অনুযায়ী তথ্যভিত্তিক পাঠ্যবিষয়মূলক উপকরণ।
একটি উপযুক্ত উন্নতমানের পাঠ্যপুস্তকের উপর সামগ্রিক শিক্ষণ ও শিখন প্রক্রিয়া
নির্ভরশীল।পাঠ্যপুস্তক বিশ্লেষণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।নবম শ্রেণির ভূগোল পাঠ্যপুস্তক “প্রাক-
মাধ্যমিক আধুনিক ভূগোল ও পরিবেশ”; এই পুস্তকটি বিশ্লেষণের জন্য নির্বাচন করা হয়েছে। এই গবেষণার
উদ্দেশ্য পাঠ্যপুস্তকটির আভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক বিষয়বস্তু সম্পর্কে ইতিবাচক ও নেতিবাচক দিকগুলো তুলে
ধরা এবং নির্বাচিত পুস্তকটি শিক্ষার্থীর কাছে আরও উন্নতমানের করে তোলার জন্য কিছু সুপারিশ সমূহ
প্রদান করা। পাঠ্যপুস্তকটি সহজ, সরল ও সাবলীল ভাষায় উপস্থাপিত। ধারণা গঠনে পুস্তকটি ভালো মানের যা
শিক্ষার্থীর কাছে বোধগম্য হয়ে উঠেছে। ইংরেজি টার্ম বন্ধনীর মধ্যে উল্লেখিত এবং নতুন শব্দ ও তথ্য
আলাদা করে রঙের ব্যবহারে দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আবহবিকার অধ্যায়ে শল্কমোচনের ও ক্ষুদ্রকণা বিসরণ এর
ছবি অস্পষ্ট। পুস্তকটির বাধাই দুর্বল প্রকৃতির যা সহজে ছিঁড়ে যেতে পারে।
Editor-in-Chief : Dr Ruma Bhattacharyya, Principal BKGC Howrah